আমি নিজের একান্ত মতামত জানাচ্ছি, আজ হয়তো আমাদের মানুষ বলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে, মান-হুঁশ সব যদি জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্চৈস্বরে বলি আমি হিন্দু গর্বে গর্বিত, আমি মুসলিম গর্বে, আমি জৈন কিংবা বৌদ্ধ, তবে আমাদের মৌলিক যে পরিচয় সেই মানবধর্ম টা কোথাও মুখ লুকিয়ে কাঁদবে। বন্ধু, আজ মাথা উচু করে দুটো কথা বলতেও ভয় পাই, হাত নীচু করে ক’টা কথা লিখতে আরো বেশী ভয়। সত্যি কথা বলতে ভয়ে ভীত হতে হতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, এবার যদি সামনে এগোবার চেষ্টা না করি তবে দেওয়ালে পিষতে পিষতে মারা যাবো তার চাইতে যে ক’দিন বাঁচবো মাথা উঁচু করে সামনের দিকে এগিয়েই বাঁচি। আমরা অনেকে বলে থাকি, প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, সে যুক্তি এবার ছাড়তে হবে, খুঁজে পেতে হবে সেই ভাষা, যুক্তি তক্কোকে দাঁড় করাতে হবে সঠিক ভাবে। সমূলে উপঢ়ে ফেলা জানিনা কতটা সম্ভবপর হবে তবে সেটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। নয়তো এই গরিষ্ঠ গোঁড়ামির গোড়া ওপড়ানো লঘুর পক্ষে সম্ভব নয়। এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বজ্রকন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে “...এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো এ দেশের মানুষকে মুক্ত...