Posts

Showing posts from April, 2015

সেই মেয়েটা...

সেই মেয়েটার জীবন কেমন ছন্দে ছিল খোঁজ করেনি কারণ তার যৌবনই কাল ছিল তার রূপেতে মাদকতা জড়িয়েছিল পাগোল করা পটল চেরা চোখ ছিল ঐ মেয়েটি অপ্সরাদের হার মানিয়েছিল নিজের প্রতি আস্থা ছিল টেক্কা দেবার দম ছিল সেই দমই যে তার কাল হল মুখের ওপর ঝলসানো দাগ দেখলে আজো মন কাঁদে ওদের কাছে নগ্ন হতে রাজী না হওয়াই ভুল ছিল অ্যাসিড ছুঁড়ে রূপ সবই ছিনিয়ে নিল সেই মেয়েটার বেঁচে থাকার জেদ ছিল সব ভুলে সে নিজের মত বাঁচছিল আবার তাদের স্বীকার হয়ে রাতের বেলা লাশ হয়ে ঝোপের ধারে পড়েছিল নাহ্, ওর এ দেশেতে জন্ম নেওয়াই ভুল ছিল স্বাধীনতা পেয়েও নারীর ঝুঁকিয়ে মাথা চলতে বলা এমন সমাজকে মার ঝাঁটা....

চিঠির কথা...

Image

...জীবন...

কখনো নিজেকে ছোট ভাবতে নেই তাতে মনোবল ক্ষুন্ন হয়, নিজের প্রতি বিশ্বাস আস্থা অর্জন করতে হয়  এই আমি বেশ আমি ঐ আমি বেশ হব সেই আমি হব না। আমার যা আছে  তাই নিয়েই সুখী থাকতে ক্ষতি কি?  এই আত্মবিশ্বাস টা জরুরী তবে  অতিরিক্ত নয়। নিজেকে হীন  মনে করলে দুনিয়া ছেড়ে  কথা বলবে না, সেই হীনতা  ঢাকতে হবে। জীবন কে  নিজের মনের মত সাজিয়ে নাও...

আমি ও আমার লাশ...

যখন ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি রাত দুটো বেজে দশ পাশে থাকা জলের গ্লাস টা তুলে নিয়ে ঢকঢক করে খেলাম...কেমন যেন শুকিয়ে আসছে গলা সারা দেহ কেমন যেন শূণ্যে মিলিয়ে যেতে চাইছে বড় অস্বস্তিতে পড়েছি...অন্ধকার ঘরটাও কেমন যেন বিদ্যুৎ ঝলকানির মত আলোকিত হয়ে উঠছে, চোখের সামনের আসবাব গুলো শূণ্যের ওপর ভাসছে যেন...কেমন একটা বাঁধন আলগা করে দেওয়া মায়া মমতা ক্ষীণ হতে ক্ষীণ তর হয়ে চলেছে....অতঃপর... ধুস! সব দুঃস্বপ্ন....সকালে চায়ের কাপ হাতে মা এসে আমায় ডাকল...আমি উঠলাম কিন্তু মায়ের হাতের কাপ মাটিতে চুরমার হয়ে গেল পড়ে... কিছু বলে ওঠার আগেই মা দৌড়ে বাইরে ছুটে গিয়ে হইহই রইরই করে উঠল...কিছ্ছুটি বুঝতে পারছি না... সবাই ঘরে এল...আমি ঠায় তখনও একলা হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে...ঠাহর করে ওঠা আমার পক্ষে কোনও ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না মা...মা...মা গো...আমার কোন কথাই যেন মা শুনতে পেল না...দু চোখে আঁচল জড়িয়ে ডুকরে কাঁদছে...সবার এমন কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে আমি কেমন থতমত খেয়ে...পিছন ফিরতে দেখি আমার মত চেহারার কেউ চৌকি তে শুয়ে আছে...নিথর হয়ে পড়ে তখনও ঠাহর করতে পারিনি যে সে কেউ নয় আমারই প্রাণহীন দেহটা পড়ে আছে....কেমন যেন অর্থহীন মনে হতে ...

অভিজিৎ কে নিয়ে...

আমি নিজের একান্ত মতামত জানাচ্ছি, আজ হয়তো আমাদের মানুষ বলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে, মান-হুঁশ সব যদি জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্চৈস্বরে বলি আমি হিন্দু গর্বে গর্বিত, আমি মুসলিম গর্বে, আমি জৈন কিংবা বৌদ্ধ, তবে আমাদের মৌলিক যে পরিচয় সেই মানবধর্ম টা কোথাও মুখ লুকিয়ে কাঁদবে। বন্ধু, আজ মাথা উচু করে দুটো কথা বলতেও ভয় পাই, হাত নীচু করে ক’টা কথা লিখতে আরো বেশী ভয়। সত্যি কথা বলতে ভয়ে ভীত হতে হতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, এবার যদি সামনে এগোবার চেষ্টা না করি তবে দেওয়ালে পিষতে পিষতে মারা যাবো তার চাইতে যে ক’দিন বাঁচবো মাথা উঁচু করে সামনের দিকে এগিয়েই বাঁচি। আমরা অনেকে বলে থাকি, প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, সে যুক্তি এবার ছাড়তে হবে, খুঁজে পেতে হবে সেই ভাষা, যুক্তি তক্কোকে দাঁড় করাতে হবে সঠিক ভাবে। সমূলে উপঢ়ে ফেলা জানিনা কতটা সম্ভবপর হবে তবে সেটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। নয়তো এই গরিষ্ঠ গোঁড়ামির গোড়া ওপড়ানো লঘুর পক্ষে সম্ভব নয়। এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বজ্রকন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে “...এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো এ দেশের মানুষকে মুক্ত...

এসো পুরুষ...

এসো পুরুষ বাড়াও তোমার হাত এসো পুরুষ আমায় কর আত্মসাৎ এসো পুরুষ আমার দেহ তোমার এসো পুরুষ জাগিয়ে জানোয়ার এসো পুরুষ আমার যৌবন শুষে নিতে এসো পুরুষ কলঙ্ক লেপে দিতে এসো পুরুষ তোমার পৌরুষ দেখিয়ে দিতে এসো পুরুষ দেখ আছি বক্ষ উঁচু করে এসো পুরুষ তোমার শিশ্ন আকাশে তুলে এসো পুরুষ পর্দা ছিঁড়ে রক্তে ভাসিয়ে দিতে এসো পুরুষ লৌহ দন্ড আবার নাহয় দিলে এসো পুরুষ এসো তোমার জন্য দাঁড়িয়ে। কথা গুলো শুনতে কানে আঙুল দি মনে হয়  তাই না? আজ আমাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ, পুরুষতান্ত্রিক মাফ করবেন শিশ্ন তান্ত্রিক সমাজে  রেহাই পায় না দুই বছরের শিশু থেকে সত্তরো্র্দ্ধ মহিলা, সেখানে দাঁড়িয়ে যুবতীরা কতটা নিরাপদ ভেবে দেখেছেন কি? তাই বলছি শিশ্ন তান্ত্রিক সমাজে রোজ কাগজে হাইলাইটেড হবে  হাজারো নির্ভয়া। পুরুষ তোমার শিশ্নে আজ লজ্জা  ভেঙে দিয়েছ সমাজের মজ্জা। ছিঃ!!!

ছুঁয়ে দেখা

তোমায় স্পর্শ করার সাহস আমি দেখাইনি কত বার ভেবেছি আজ ছুঁয়ে দেখব, পারিনি মনের সাথে লড়াই করেছি, ভেবেছি, পুরুষ হয়েছি, অত ভয় কিসের? নিজের সাথে আপোস করতে পারিনি। সদর্পে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছি দূর হতে সাহস সঞ্চার করে পৌঁছেছি কিন্তু হঠাৎ এক ঝোড়ো হাওয়া সব বীরত্ব ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে বারংবার, শক্ত করেছি মন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অনুশীলন করেছি তোমায় একটু উষ্ম ছোঁয়ায় ছুঁয়ে দিতে চেয়েছি ওষ্ঠে তোমায় মিশাতে চেয়েছি, পারিনি আমি আমি এমন কিছু করব না যাতে মাথা হবে হেট পারিনি আমি যদিও তুমি মানুষ নও সামান্য “সিগারেট”।