Posts

রং মশাল

Image
কে জেগেছে বিরহী, স্বপ্ন কেইবা দেখে একা? কেইবা কাঁদে দিনের আলোয়? তোকে ছুঁয়ে যেতে চাওয়া। প্রহর শেষে ইতিস্তত হাত ছুঁতে যেন চায়, তোকে একটি বার। ছায়াছবি জলমেখে ছবির ছায়া রেখে যায়, শ্বাসভরা ফুসফুস তখন উত্তাল ছুঁতে দাও, ছুঁতে দাও একবার। অতঃপর... কেউ... না না সে এসে বলে যেন কানে কানে, "কি ভাবছ? কথা বলছ না যে, আমি কি খুব কথা বলি?" আচমকা ঢেউ ওঠে হৃৎপিণ্ডের কানা ঘেঁষে। বেসামাল হাত শক্ত করে ধরি দুই হাত, যেন ভয় পেয়েছে ভীষণরকম। না ছেড়ে যাবার আর্তি, অজানা ঝড়েই থেমে যাবে জেনেও একটি বার বুঝিয়ে দিতে চাওয়া যেন, আমি আছি, আমি আছি! তোমাকে অনেকবার ছুঁয়েছি আমি, ট্রেনে বাসে ভীড় ঠেলাঠেলি ঠাসা করিডোরে। ঝটিতের সাক্ষাৎ আর স্মৃতিময় মুহূর্তেরা উঠে আসে লহমায়। যেন নুনজলে ধুইয়ে দেয় স্মৃতির ক্ষত! সন্ধ্যার শহরে তোমার সঙ্গে পা মিলিয়ে হেঁটেছি, মেলাবার চেষ্টা করেছি। অচেনা অলিগলি যেন কথা বলে ওঠে, যেন কত পরিচিত আমি। একটি বার তোমার হাতের আঙুল ছেড়ে দিলে, ফুটপাত‌ও ঘুরিয়ে নেয় মুখ। যেন আগন্তুক... রাতের ট্যাক্সিতে শনশনে হাওয়ার থাপ্পড় যেন আরো কাছে এনে দেয়। কাঁধে মাথা...

সবার কালীকা

সব কিছু ঠিক আগের মতোই শুধু তুমি নেই দোহারে আজো করুণে বাজে শুধু তুমি নেই মৃদঙ্গ মাতায় আসর তেমনই শুধু তুমি নেই সব গানের সূত্র​ আছে ঠিক, সূত্রধর-ই শুধু তুমি নেই হারানো সুর আজো আছে, সন্ধানী শুধু তুমি নেই শিল্প আছে ঠিক তার জায়গাতে, শিল্পী শুধু তুমি নেই অনামী শিল্পী হাজার আছে, তাঁর হাত ধরে টানার মানুষ, কালিকা শুধু তুমি নেই... __________________ © বাসব চক্রবর্ত্তী
এই ধর্মটাকে বর্ম করে করছ যারা খেলা, জাত পাতের জাঁতা কলে হদ্দ মতন পেষা। টিকিবাদ আর দাড়িবাদের হিসেব এবার ছাড়ো​, ছিরি-জাতের কবিতা ছিঁড়ে মানুষ হয়ে বাঁচো। সোজা কলম ছেড়ে এখন বাঁকা কলমে কবি, বাঁকা লেখার কুখ্যাতিতে হনু দেখায় পেশী... __________________ © বাসব চক্রবর্ত্তী
দাড়ির ঝোপে টিকির গিঁটে আজো ধর্ম বড়াই করে। আধপেটা ছেলে মরে কি বাঁচে তাতে থোড়াই কেয়ার করে...! _________________ © বাসব চক্রবর্ত্তী

বিষয়ঃ যশোর রোডের গাছ নিধন

Image
কেটে ফেল গাছ, টিপে ধরে টুঁটি, ছিঁড়ে ফেল হাত, খুলে নে বাকল। তোর পথ হোক সুগম, উপকার ভুলে যা। কি হবে ঐ আগাছা রেখে? তার চেয়ে উপড়ানো শ্রেয়, কি হবে ওদের উপর গড়া ইকোসিস্টেমের পরোয়া করে? ওসব দুয়ো... মাথায় রাখিস না! ক্রেন চালা ... ক্রেন চালা ওখানে ড্রেন হবে, আর একটু ছড়ানো রাস্তা, গাছ তো বাজারে বিকোয়, রাস্তা তো আর নয়! অক্সিজেন তো সিলিন্ডারেই আছে, গাছেরা নিস্প্রয়োজন...তুই উপড়ে ফেল, তার চেয়ে বরং...! ওরা প্রাচীন ওদের উপর তথ্যচিত্র করা যায়, তাই বলে পোষা ? অসম্ভব তা যায় না। নিজেদের বাপ মায়ের ই খবর রাখিনি বুড়ো হলে, খুব বেশী হলে সত্তর! ওরা তো দ্বিগুণ, দেড়শ... ডিফরেস্টেশনের নেপথ্যে তো আসলে, মডার্ণাইজেশন.... তুই সাফ করে দে তো সব.... ওদের উপর সহমর্মিতা দেখিয়ে, শ'খানেক চারা গাছ পুঁতব খন। তোরা ছাগল দিয়ে পরে খাইয়ে দিস... আরে ধুর! দে না রে তোর ইতিহাসের নিকুচি গাছ বাঁচিয়ে রাস্তা? ওটা বিলেতে হয়, এখানে নয়...."চালা চালা ক্রেন চালা... শ-দেড়শ'র গাছ, আর একটি রাস্তা" তোদের জন্য এই শ্লোগান... ______________________________ © বাসব চক্রবর্ত্তী ০৮/০৪/২০১৭ # Jessore_R...

তোকে

আজ তোকে নিয়ে লিখবো বলে বসে আছি সেই থেকে। হাতের মুঠোয় ঘাম জমতে শুরু করেছে, সাদা কাগজ ভিজছে ইতিমধ্যে। তবে লেখনী অনড়, খস খস সরছে না। রক্তিম সূর্যের​ রৌপ্য মুদ্রায় রূপান্তর... আঙুল খেলেনি এখনও। চোখের সামনে দিয়ে উড়ে যেতে দেখেছি ঘরে ফেরা পাখি দের। বাঁশ বাগানের কিচিরমিচির এখন থেমে গেছে। কিছু লিখতে চেয়েছিলাম তোকে নিয়ে, অক্ষর আজ ধর্মঘট ডেকেছে। ____________________________ © বাসব চক্রবর্ত্তী ১১/০৪/২০১৭
ধরা কে যদি সরা বলিয়া চালাইয়া দিতে পারি তবে ক্ষরা কে খয়ের বলিতে ত্রুটি বুঝি না শাখামৃগের নাচ দেখিয়া তাহাদের একজন ভাবিয়া লই ইহাতেও দোষ দেখি না, তাহারা আমাদিগের আদ িপুরুষই বটে ল্যাজের দিক হইতে বিচার করিলে ল্যাজ বহুলাংশে বর্ধিত হইয়াছে উঁহু উঁহু উহাদিগের নয় বরং তথাকথিত আধুনিক প্রাণী, আমাদিগের পুস্তকে-বদনে সখ্যতা না জন্মাইলেও বদনপুস্তকে নিশ্চয় আধুনিক বলিয়া প্রমাণ করিতে ইহার জুড়ি ভার। তুমি-নলে চলছবি দেখি আর কিকরতে বার্তালাপ ক্ষুদ্রবার্তার চল একপ্রকার নাই ধরিলেই চলে। ভবিষ্যৎ এ লেখালেখির চল থাকিবে তো? নাকি তাহাও ইতিহাস হইবে?