Posts

Showing posts from February, 2016

...চিৎকার...

রাজনীতি ধর্মনীতি দাঁড়িপাল্লার দুইধারে। মাঝে পড়ে গনতন্ত্র সারাদিন গুমরে কাঁদে। তোমাদের প্রতিবাদ, টিভিই দেখা, সিরিয়ালে চোখের জলে কপোল ভাসে তাতে বল কুমীরের কি যায়, কি-ই বা আসে? অধার্মিকের ধর্মজ্ঞানে, ক্রুসেডের গন্ধ পাই। কপালে লাল টিকাতে, ল্যাজে আগুন হনুমান লঙ্কা পোড়ায়। ক্ষতি কি তাতেই বল, ভাঙে ওরা ওদের নীতিই। ভারত আজ জ্বলছে দেখ, মাতছে JNU... যদু বংশ কম যায় না রাস্তায় নামছে তারা। ন্যাপকিন, চুমু ছেড়ে, রাস্তায় পায়ে চলা। সাবধান, থাকিস তোরা। ঐ যে আসছে পুলিশ ওরে তোরা এবার পালা। আমাদের সচেতনতা, আমাদেরই স্বার্থপরতা আমাদের করছে বধির, আমাদের করছে বোবা আমিও চুপ থাকি আজ, কলমেই সাহস জোগায় জবাব চাও, এবারে জবাব দাও, ঘুমন্ত সিংহ জাগাও....এবারে পাল্টা জবাব দাও.....

...খুনসুটি...

দূর হয়ে যা সামনে থেকে, অ্যামোনিয়ার মত তুই জ্বালা ধরাস চোখে। চোখের জলে আবার ভেজালি! পারিসও বটে তুই, স্বস্তি ফেরাস নিমেষে। তোর সাথে দিনরাত ঝগড়া আর কাটাকাটি কথাতে.!! নে এবার চিমটি কাট, আর কি...

...ক্যানভাস...

না রে আমি রঙ তুলি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আঁকি বুকি করেও উদ্ধার করতে পারলাম না আমার ‍বিষয়খানা কি? না রে আমি রঙ তুলি নিয়ে মুখের দুপাশে ভালো ভাবে লেপ্টে নিয়েছি রঙ। দেখ কেমন সঙ সেজেছি! না রে আমি রঙ তুলি নিয়ে চোখ দিয়ে যা ধরেছি মনে তা ফোটাতে পারিনি। ব্যর্থ হয়েছি। শুধু হিজিবিজবিজ! না রে আমি রঙ তুলি নিয়ে অনেক খেয়াল খুশি আঁচড় টেনেছি। ”বাহ, দারুণ এঁকেছিস” বললি বটে! পাগোল নাকি? নারে আমি রঙ তুলি নিয়ে কিছুই সাজাতে পারিনি, হতে পারিনি, পাবলো মকবুল, পিকাসো! না রে আমি রঙ তুলি নিয়ে হতে পারিনি, যামিনি, গণেশ হতে পারিনি, নন্দদুলাল ব্যর্থ আঁচড়ের মালিক ছাড়া! তবু রঙ মাখি, রঙ খাই, রঙ খেলি জীবনের সাদা কালো ঢেকে ফেলি দুদন্ডের তুলির আঁচড়ে। 

...না বলা কথা...

দিল্লীর ঐ পাহাড়গঞ্জের ছোট্ট বস্তিতে আমার দিন গুজরান হয় বস্তি বললে ভুল হবে, যাকে আপনারা রেড লাইট এরিয়ার আওতায় ফেলে থাকেন। সমাজে মানুষ না আমরা বেশ্যার তকমা গায়ে লাগিয়ে ঘুরে বেড়াই। যেখানে স্বল্প টাকায় বিকিয়ে দিই নিজের শরীর। যেখানে প্রতি রাতে নিরাভরন হই অচেনা অজানা পুরুষের সামনে। সমাজের উঁচুতলার মানুষ আপনারা। আমাদের আর্তনাদ আপনার কর্ণকুহরে পৌঁছবে না জানি। আফশোষ করি, কেন জানেন? ঐ রাতে যে বাবুরা আসতেন তাদের টাকার বিনিময় নয় নিজের মন বিনিময় করতে চেয়েছিলাম, একটু জাতে উঠতে তথাকথিত একটু ভদ্দর হতে চেয়েছিলাম। আপনারা দৈহিক সুখ খোঁজেন, আমরা মানসিক। আমাদের সখ আহ্লাদ মাসীই ঠিক করে দেয়, সাজিয়ে দেয়। কই আমাদের কেউ ভালোবেসে হাত তো বাড়িয়ে দেননি! আমরা কি মানুষ নই? আমাদের সখ আহ্লাদ নেই? আমাদের ঐ ভদ্দর জাতে উঠতে চাওয়া কি দোষের? আজ হাজার টাা নাম আমার, প্রতি রাতে, এক বাবুর কাছে এক নাম। নিজের নামটাই আর খেয়াল নেই। নাহ আপনারা এভাবেই আসুন। আমি প্রতিরাতে নাহয় হলাম লালসার শিকার, ভালোবাসার নাইবা হলাম। ভালো থাকবেন বাবুরা, আপনারা ভালো থাকলেই তো আমাদের পেট চলবে।

...ঢোল প্যান্টালুন বাবু...

Image
ঢোল প্যান্টালুন বাবুর নামটা কানে এলে একটু হাসির উদ্রেক তো হবেই। হ্যাঁ মানুষটি আজবই বটে। ইয়া বড় আধ পাকা গোঁফ, সামনের দুটো দাঁত নেই, কেমন যেন বিড়ি রাখার র‌্যাক মনে হত যখন ফুক ফুক করে বিড়ি টানত। অমায়িক ভালো মানুষটিকে আজ যখন পুলিশে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিল, বুকের ভেতরটা কেমন যেন দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে একশেষ হয়ে যাচ্ছিল । ঢোল-প্যান্টালুন বাবুর এই আজব নামটিই বা কেন? হ্যাঁ মনে প্রশ্ন আসারই কথা। আসলে ওনার পরনে ছ িল আদ্যিকালের ঐ ঢোল প্যান্টালুন আর ময়লা একখানা পাঞ্জাবী। রোজ সকালে যখন রসায়ন পড়তে স্যারের কাছে যেতাম তখন নিয়মিত ওনার সাথে দেখা হত চায়ের দোকানে, একগাল হেসে ওনাকে চা-বিস্কুট খাওয়াতাম। না উনি কখনো অত ভদ্রতা দেখাতে না না করেননি। বড় অদ্ভুত মানুষ ছিলেন। খুব মিতভাষী তবে, আমার সাথে বেশ সখ্যতা জমে গেছিল, কাঁচা আর পাকার এ্ই বন্ধুত্ব এক অসামঞ্জস্যও বটে। ক্ষতি কি মশাই? ভালোবাসা আর বন্ধুত্বে বয়স দেখতে নেই। তবে বন্ধুত্বটা ঐ চায়ের দোকানেই, পড়তে যাওয়ার সময় আবার ফেরার সময়। আমার বন্ধুটি জানত আমি কখন ফিরব। তবে আজ বছর ছয় সেই বন্ধুর সাথে দেখা নেই...আর দেখাও হবে না। সেদিন সকাল থেকেই পৌরসভার ভোট...সবাই ব্যস্ত ভোট...

...বাজারি মেয়েছেলে...

Image
হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ আমি সে'ই বলছি যাকে দেখে আপনারা মুখ ফিরিয়ে নেন, অচ্ছুত বাজারি মেয়ে ছেলে নামে-ই চেনেন,জানেন, বা বলে থাকেন। কিন্তু, বাবু পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। সেখানে struggle for existence এর নীতিটা টিকিয়ে রাখতে বেছে নিতে হয় এমন পথ। নয়তো ছিঁড়ে খেতেন হয়তো আপনাদের মতই কেউ না কেউ। এই সমাজ এতটাই নিষ্ঠুর যেখানে সৎ ভাবে বাঁচতে গেলেও সবার কুনজরে পড়তে হয়। তার চেয়ে নাহয় একটু আধখোলা শরীরে আপনাদের মনোরঞ্জন করি (সৎ ভাবে)। একটু হেসে নেচে seduce করে পরিবেশ গরম করে যদি দিন গুজরান হয় স্বচ্ছন্দে, তা-ই সয়। সেখানে শেয়াল কুকুরের ছিঁড়ে খাওয়ার ভয় নেই। বেশ আছি বাবু, কি আসে যায় সমাজের, নাহয় হলাম বাজারি মেয়েছেলে! আমরাও মানুষ আমাদেরও মন আছে, তবু কোন দাম দিতে রাজী নন কেননা, "আরে তুই তো বাজারি মেয়েছেলে!" আমাদের টিকে থাকা সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। আমাদের টিকে থাকা সমাজের শেয়াল কুকুরের সাথে লড়াই করে। আমাদের টিকে থাকা দুবেলা দুটো খাবারের জন্য, আপনাদের মন উষ্ম করে নিজের চোখের জল লুকাবার জন্য।

...নারী তুমি...

ধর্ষিতা হচ্ছ নারী প্রতিদিন প্রতিরাতে নিজেকে দিচ্ছ সঁপে বল আজ কার হাতে সংসারে টানছ ঘানি বিনিময়ে বিকিয়ে দেওয়া কোনদিন বাদ যায়না নারী তোমার নগ্ন হওয়া বিকৃত মানসিকতা ধর্ষকের চরম প্রকাশ ধর্ষক সেও জেন যে শোঁকায় ফুলের সুবাস প্রতিশ্রুতি তোমার কাছে আকাশ টা তোমায় দেবে বিনিমিয়ে তুমি আজ কামানলে জ্বালিয়ে দেবে প্রেমের বাতাস থামবে শেষে উষ্ণতার যবনিকা ঘুমিয়ে যাবে দুটি শরীর ভিজিয়ে দিয়ে বিভাজীকা রগরগে প্রেম সহবাসে পলকা প্রতিশ্রুতি মিথ্যাচারের বশে নারী দিলে যে আত্মাহুতি পান্তা সস্তা বটে দুটো ঐ লঙ্কাভাতে ঘামেতে ভিজিয়ে শরীর দেখ সে যুদ্ধে মাতে ধর্ষণের সংজ্ঞা বল কোথায় ধর্ষকের কি পরিচয় চেয়ে দেখ রাত কেটে যায় আলো ফোটে ঘুলঘুলিটায়....

তোমায় দেখা...

তোমায় দেখে আজ ঝলসে গেছে এ চোখ রেটিনাতে যে প্রতিচ্ছবি আজ ভাসছে কে সে! সে কি তুমি? মনে হল যেন অনেক অচেনা। তুমি তো আজ তুমি নেই আর বদলে গেছ। বদলে বদলে আদলটাই আজ ভোল পাল্টে স্মৃতির অতলে হাতড়ে চলে। খেই হারিয়ে ফেলে পর্বতসম স্মৃতির ভীড়ে, বড় ফিকে হয়ে আছ। সাদা কালো স্মৃতি রঙীন করার ব্যর্থ প্রয়াস। আকাশে উড়ে চলা শ্যেনের দৃষ্টি যতটা না প্রখর, তার চেয়েও তীক্ষ্ন এ বুকের ধুকপুকুনি টা। বাইরে বেরিয়ে আসতে চায় হৃৎপিন্ড, সিস্টোল ডায়াস্টোলে সাইক্লোন তোলে বুকের মাঝে। তোমার ছটা আজ লেজারের মত চোখে বিঁধে স্পেকটাকলস টা খুলে পকেটে রাখতে বাধ্য হলাম। পারলাম না নাকের পরে আর ধরে রাখতে। চলতি পথে আবার কোন একদিন দেখা হবে , হয়তো এমন অনুভূতি দ্বিতীয় দিনে আর হবেনা। তবু থাকব অপেক্ষায়...

আমাতে তুমি...

সূর্য যেমন রোজ ওঠে এক নতুন দিনের সূচনা আমার জীবনে তুমিই সে নতুন শুরুর রচনা পাখ পাখালীর ঘরে ফেরা সন্ধ্যে নামার পরে আমার আমি-র অস্তিত্ব পাই সব খোয়াবার আগে মনের কোণে মেঘ জমে আজ দুচোখে নামে বর্ষা তুমি ছাড়া আজ কেই বা আপন কেই বা  ভরসা ঘর ছাড়া পাখি দুচোখে চাহি স্বপ্ন দেখে ঢের অসহায় জীবন বিষায় জানি প্রলম্বিত সে জের বাস্তবতার শ্বাসবায়ু আজ সায়ানেটে ভরপুর অসহ্য জ্বলন বুকের মাঝে ফুসফুস অস্থির অবুঝ মন নিকোটিনে মিশে যেতে চায় অ্যালকোহলে হতে চায় বুঁদ। নিরূপায়.....

শীতের সকালে...

কুয়াশা ঘেরা এই সকাল তোমায় দিলাম  ঘুম ভাঙা সদ্য দুচোখে আবার অলসতার  চাদর বিছিয়ে দেয়। গালিচা পেতে দেয় শিশির  বিন্দু সবুজ নরম ঘাসে। যেন মুক্তমালা ...