____________অভিমানী_____________ অনেক বলেছি অভিমানে, আর না। ছোট ছোট টুকরোতে বন্দী করেছ, আর কত? আর কত টুকরো করবে? মনে জমা অবসাদ ঝরে পড়েছে তোমার স্মৃতির আচমকা দোলাতে। উল্টানো আমিকে নিয়ে সব ফুটবল খেলছ সমসাময়িকতার সাথে মিল টানা, কিছুটা অতিরিক্ত সরলীকরণ। ফলে ছন্দপতন ঘটে যায় মুহূর্তে। আমি আজ আমার ঠিকানাতেই চিঠি লিখি আকাশের ঠিকানাটা জানা নেই যে। পোষ্ট বক্সে নষ্ট হবার চেয়ে আমার কাছে ফিরে আসুক। আমাকে তো আগেই ভুলেছ, এবার আমার পালা লাস্ট ট্রেনে ফিরতে দৌড়েছিলাম... মচকানো পা নিয়ে এখনো খুঁড়িয়ে চলি, তার থেকে নিস্তার নেই নিস্তার নেই স্মৃতির ছোবল থেকে। ভুলতে চাইছি, এমন মোহ আগেও কাটিয়েছি ভুলে যাবো ঠিকই ভুলে যাবো... একটা প্রশ্নঃ আরো কত ছোট করে নেবো নিজেদের? © বাসব চক্রবর্ত্তী © ২৫/০৮/২০১৬
Popular posts from this blog
___________একটু ঝাঁঝালো__________ ছায়া ও রৌদ্রের সাহিত্যরস নিঙড়ানো চলছে, যুগ যুগ ধরে। কি এমন মধু মাখানো জানিনা। পার্কে যুগলের প্রেম রগরগে বার্তালাপ, প্রজাপতির উড়ে চলা, ধুলো ওড়া ধূসর বিকালের সেইসব সন্ধ্যা। কথার বাঁধুনীর মৃত্যু। কবিতা উল্টোপথে হাঁটে। স্বপ্ন আঁকো পারলে বারবার আঁকো ইরেজার দিয়ে মোছো। কাটাকুটিতে মেতে ওঠো, অক্ষরের, শব্দের, বাক্যের। পূর্ণতা পাক তোমার মনের না বলা ভাবগুলো। কখনো মুখ ফুটে টু বলার সাহস দেখায়নি যারা আজ মাথা উঁচু করে সরব হতে পেরেছে তোমার লেখাকে সামনে রেখে। না কোন খিস্তি-খেউর নয়, সাহিত্যের কঠিন বাক্যবিন্যাসে নয়। তোমার সহজ সরল সাবলীল ভাষায়। সমুদ্র-শাসন হেলায় তুচ্ছ করে বাঁচে যারা বেঁচে থাকার তাগিদে... স্বাধীনতার স্বাদ বারুদের গন্ধে মিশে যায়। শৈশব যাদের কাটে চায়ের দোকানে স্বাধীনতা অর্থহীন ওদের কাছে। স্বাধীনতা দাসত্বের সমান... স্বাধীনতা রাজনীতির সাধারণের নয়...!!! © বাসব চক্রবর্ত্তী © ১৫/০৮/২০১৬
রং মশাল
কে জেগেছে বিরহী, স্বপ্ন কেইবা দেখে একা? কেইবা কাঁদে দিনের আলোয়? তোকে ছুঁয়ে যেতে চাওয়া। প্রহর শেষে ইতিস্তত হাত ছুঁতে যেন চায়, তোকে একটি বার। ছায়াছবি জলমেখে ছবির ছায়া রেখে যায়, শ্বাসভরা ফুসফুস তখন উত্তাল ছুঁতে দাও, ছুঁতে দাও একবার। অতঃপর... কেউ... না না সে এসে বলে যেন কানে কানে, "কি ভাবছ? কথা বলছ না যে, আমি কি খুব কথা বলি?" আচমকা ঢেউ ওঠে হৃৎপিণ্ডের কানা ঘেঁষে। বেসামাল হাত শক্ত করে ধরি দুই হাত, যেন ভয় পেয়েছে ভীষণরকম। না ছেড়ে যাবার আর্তি, অজানা ঝড়েই থেমে যাবে জেনেও একটি বার বুঝিয়ে দিতে চাওয়া যেন, আমি আছি, আমি আছি! তোমাকে অনেকবার ছুঁয়েছি আমি, ট্রেনে বাসে ভীড় ঠেলাঠেলি ঠাসা করিডোরে। ঝটিতের সাক্ষাৎ আর স্মৃতিময় মুহূর্তেরা উঠে আসে লহমায়। যেন নুনজলে ধুইয়ে দেয় স্মৃতির ক্ষত! সন্ধ্যার শহরে তোমার সঙ্গে পা মিলিয়ে হেঁটেছি, মেলাবার চেষ্টা করেছি। অচেনা অলিগলি যেন কথা বলে ওঠে, যেন কত পরিচিত আমি। একটি বার তোমার হাতের আঙুল ছেড়ে দিলে, ফুটপাতও ঘুরিয়ে নেয় মুখ। যেন আগন্তুক... রাতের ট্যাক্সিতে শনশনে হাওয়ার থাপ্পড় যেন আরো কাছে এনে দেয়। কাঁধে মাথা...
Comments
Post a Comment