____________বাওয়াল________________________
তাজা রক্ত প্রাণে যখন, কিছুই না মানার বয়েসে, তোয়াক্কা থোড়ি। এই বয়সে যদি মনে রাখার মত কিছুই যদি না করি, তবে কবে আর করব? মাথায় দুষ্টুবুদ্ধি খেলে গেল, বাওয়াল মাচাতে হবে? তবে কোথায়? আমরা যারা আছি, তাদের প্রত্যেকেরই গুড বয় ইমেজ আছে, হাজার চেষ্টাতেও নিজেদের “র” করতে পারবো না। তাই এলাকা তে কিছু নয়। চল দূরে আমাদের এলাকা ছেড়ে। বেরিয়ে পড়া গেল, দল বেঁধে তিনটে বাইক, সঙ্গী সাত, গন্তব্য চাঁদপাড়া।
বাড়ি থেকে বেরিয়েই বাধা টপকালাম দুই বাসের পাশ কাটিয়ে মাঝ দিয়ে বাইকে হুস। ফুশ হয়তো হয়েই যেতাম, বেআক্কেলেটার জন্য। বনগাঁতে পালের গোদার সাথ নিলাম। শুনলাম হেলমেট ছাড়া দের দুকানে টান দিচ্ছে মামারা। সুযোগ বুঝে টেনেই বেরোনো গেলো, তবে কপালে যদি ফেরা থাকে খন্ডায় কে! হতে হতে বেঁচেছি ২-৩ বার। একবার এক বুড়ো গাড়ির উপরে হুমড়িই খাচ্ছিলো, এক সাইকেলে এক নির্বোধ, সর্বোশেষে এক ভীতু যুবা, হোই হোই হোই আওয়াজেই যায় যায় আর কি, এ্যাক্সিডেন্ট না, দূরসিডেন্টই পগার পার হচ্ছিল। যাই হোক শেষমেশ দল বেঁধে হোটেলে ঢুকলাম। হঠাৎ সেখানে দেখা হয়ে গেল পুরনো স্কুল ফ্রেন্ডের সাথে, সে নাকি তার বান্ধবীদের নিয়ে এসেছে ( খুক খুক, গার্ল ফ্রেন্ড) একটু হট ড্রিংকস পান করাতে। না না বোধহয় ঐ ভল্লুক খেতে। সে তো অনুনয় বিনয় শুরু করল, ভাই প্লীজ এটুকু প্রাইভেসী রাখ, কেউ তাকা-ঝাঁকি করিস না। চোরে না শোনে ধর্মের কথা। কিছু কিছু আপদ তো থাকেই, দেখেই নিল টুুকুস টুকুস করে, দরজার পর্দা সরিয়ে। দলে ছিলাম সাত, ভিড়ল আরো এক বন্ধু হলাম আট। মজা নষ্ট করার অনেক কারণ তো হলই, শুরু হল তাকা ঝাকি নিয়ে। শেষে Mountain Dew চার বোতল চাওয়া হল, ভাবখানা এমন যেন আমরা বিয়ার খাচ্ছি। পালের গোদা তুড়ি মেরে অর্ডার দেয়, এক প্লেট চিকেন পকোড়া, আর এক প্লেট চিকেন গ্রেভী। ঠন ঠন করে বোতল জমতে শুরু করেছে ইতি মধ্যে, আছে কিছু পাবলিক, ড্রিঙ্কস নিচ্ছে কম, চিকনে সাটাচ্ছে বেশী। তবে এটা মানতে হবে, ওদের ডেকোরেটিং টা বেশ।একটু আধটু গরম হতে শুরু করেছে পরিবেশ। আবার চারটে কোল্ড ড্রিংকসের অর্ডার। তুড়ি মেরে আবার আদেশ, দু প্লেট চিকেন পকোড়া ১০ টা রুটি। তার মধ্যে কথা আছে, এত কিছুর মধ্যে টিস্যু পেপার ছিল না, তুড়ি মেরে আনানো হল। আমি আবার হাত মুছে, এইম করছি, বোতল গুলো তে লাগাবো, তা তো ছাই লাগলই না, পালের গোদার কোল্ড ড্রিংকসের মধ্যে ঠুস, তা ও বুঝি ফেলে দিয়েছে ভেবেছিলাম, খায়নি বুঝি, পরে জানলাম ওটাই নাকি আমায় খাইয়ে দিয়েছিল। দুনিয়ার সবাইকে বিশ্বাস কর ক্ষতি নেই তবে সেধে খাওয়ানো বন্ধুর সািধা জিনিস খেও না। এর মধ্যে একজন ঘটিয়েছে কেলো, চেয়ারে বসতে গেছে, সভ্য শান্ত ( লেজ বিশিষ্ট) ছেলেটি, আর এক বাঁদর তা নিয়েছে সরিয়ে, সশরীরে তিনি ভুলুন্ঠিত আর কী! এবার রাগ আর দেখে কে? রাগ দেখা তারপরে , তা না, রাগ দেখায় চেয়ার টেবিলের উপর, এই ভাঙে কি সেই ভাঙে। আরে ভাই পারলে ওকে মার নাক ফাটা আপত্তি নেই, কেটে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে দেব, চেয়ার টেবিল ভাঙলে সে দাম পকেটে নেই, এক্ষেত্রে মানুষের চাইতে সেই মুহুর্তে চেয়ার টেবিলের মূল্য অনেক গুণ বেশী। যাই হোক সেই হট্টগোলে বোতলগুলো জলতরঙ্গের মত সুর করে বেজে উঠল। অনেক হল, এবার বাড়ি ফিরতে হবে, বিলটা কত হয় দেখি! সাধ করে বড় হোটেলে এসেছি। পকেটে ব্যাথা যে করবে সে তো বুঝতে পেরেছিই। পালের গোদারই টনটনালো বেশী। সে যাই হোক সামান্য কোল্ড ড্রিংকসেই যদি এমন অবস্থা হয়, ভাবো একবার বিয়ার পেটে পড়লে, হনুমান গুলোর কি পরিণতি হতে পারতো...!!!
তাজা রক্ত প্রাণে যখন, কিছুই না মানার বয়েসে, তোয়াক্কা থোড়ি। এই বয়সে যদি মনে রাখার মত কিছুই যদি না করি, তবে কবে আর করব? মাথায় দুষ্টুবুদ্ধি খেলে গেল, বাওয়াল মাচাতে হবে? তবে কোথায়? আমরা যারা আছি, তাদের প্রত্যেকেরই গুড বয় ইমেজ আছে, হাজার চেষ্টাতেও নিজেদের “র” করতে পারবো না। তাই এলাকা তে কিছু নয়। চল দূরে আমাদের এলাকা ছেড়ে। বেরিয়ে পড়া গেল, দল বেঁধে তিনটে বাইক, সঙ্গী সাত, গন্তব্য চাঁদপাড়া।
বাড়ি থেকে বেরিয়েই বাধা টপকালাম দুই বাসের পাশ কাটিয়ে মাঝ দিয়ে বাইকে হুস। ফুশ হয়তো হয়েই যেতাম, বেআক্কেলেটার জন্য। বনগাঁতে পালের গোদার সাথ নিলাম। শুনলাম হেলমেট ছাড়া দের দুকানে টান দিচ্ছে মামারা। সুযোগ বুঝে টেনেই বেরোনো গেলো, তবে কপালে যদি ফেরা থাকে খন্ডায় কে! হতে হতে বেঁচেছি ২-৩ বার। একবার এক বুড়ো গাড়ির উপরে হুমড়িই খাচ্ছিলো, এক সাইকেলে এক নির্বোধ, সর্বোশেষে এক ভীতু যুবা, হোই হোই হোই আওয়াজেই যায় যায় আর কি, এ্যাক্সিডেন্ট না, দূরসিডেন্টই পগার পার হচ্ছিল। যাই হোক শেষমেশ দল বেঁধে হোটেলে ঢুকলাম। হঠাৎ সেখানে দেখা হয়ে গেল পুরনো স্কুল ফ্রেন্ডের সাথে, সে নাকি তার বান্ধবীদের নিয়ে এসেছে ( খুক খুক, গার্ল ফ্রেন্ড) একটু হট ড্রিংকস পান করাতে। না না বোধহয় ঐ ভল্লুক খেতে। সে তো অনুনয় বিনয় শুরু করল, ভাই প্লীজ এটুকু প্রাইভেসী রাখ, কেউ তাকা-ঝাঁকি করিস না। চোরে না শোনে ধর্মের কথা। কিছু কিছু আপদ তো থাকেই, দেখেই নিল টুুকুস টুকুস করে, দরজার পর্দা সরিয়ে। দলে ছিলাম সাত, ভিড়ল আরো এক বন্ধু হলাম আট। মজা নষ্ট করার অনেক কারণ তো হলই, শুরু হল তাকা ঝাকি নিয়ে। শেষে Mountain Dew চার বোতল চাওয়া হল, ভাবখানা এমন যেন আমরা বিয়ার খাচ্ছি। পালের গোদা তুড়ি মেরে অর্ডার দেয়, এক প্লেট চিকেন পকোড়া, আর এক প্লেট চিকেন গ্রেভী। ঠন ঠন করে বোতল জমতে শুরু করেছে ইতি মধ্যে, আছে কিছু পাবলিক, ড্রিঙ্কস নিচ্ছে কম, চিকনে সাটাচ্ছে বেশী। তবে এটা মানতে হবে, ওদের ডেকোরেটিং টা বেশ।একটু আধটু গরম হতে শুরু করেছে পরিবেশ। আবার চারটে কোল্ড ড্রিংকসের অর্ডার। তুড়ি মেরে আবার আদেশ, দু প্লেট চিকেন পকোড়া ১০ টা রুটি। তার মধ্যে কথা আছে, এত কিছুর মধ্যে টিস্যু পেপার ছিল না, তুড়ি মেরে আনানো হল। আমি আবার হাত মুছে, এইম করছি, বোতল গুলো তে লাগাবো, তা তো ছাই লাগলই না, পালের গোদার কোল্ড ড্রিংকসের মধ্যে ঠুস, তা ও বুঝি ফেলে দিয়েছে ভেবেছিলাম, খায়নি বুঝি, পরে জানলাম ওটাই নাকি আমায় খাইয়ে দিয়েছিল। দুনিয়ার সবাইকে বিশ্বাস কর ক্ষতি নেই তবে সেধে খাওয়ানো বন্ধুর সািধা জিনিস খেও না। এর মধ্যে একজন ঘটিয়েছে কেলো, চেয়ারে বসতে গেছে, সভ্য শান্ত ( লেজ বিশিষ্ট) ছেলেটি, আর এক বাঁদর তা নিয়েছে সরিয়ে, সশরীরে তিনি ভুলুন্ঠিত আর কী! এবার রাগ আর দেখে কে? রাগ দেখা তারপরে , তা না, রাগ দেখায় চেয়ার টেবিলের উপর, এই ভাঙে কি সেই ভাঙে। আরে ভাই পারলে ওকে মার নাক ফাটা আপত্তি নেই, কেটে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে দেব, চেয়ার টেবিল ভাঙলে সে দাম পকেটে নেই, এক্ষেত্রে মানুষের চাইতে সেই মুহুর্তে চেয়ার টেবিলের মূল্য অনেক গুণ বেশী। যাই হোক সেই হট্টগোলে বোতলগুলো জলতরঙ্গের মত সুর করে বেজে উঠল। অনেক হল, এবার বাড়ি ফিরতে হবে, বিলটা কত হয় দেখি! সাধ করে বড় হোটেলে এসেছি। পকেটে ব্যাথা যে করবে সে তো বুঝতে পেরেছিই। পালের গোদারই টনটনালো বেশী। সে যাই হোক সামান্য কোল্ড ড্রিংকসেই যদি এমন অবস্থা হয়, ভাবো একবার বিয়ার পেটে পড়লে, হনুমান গুলোর কি পরিণতি হতে পারতো...!!!
Comments
Post a Comment